ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নারীদের ধর্ষণ করাই টুনু'র নেশা

  • আপলোড তারিখঃ 15-06-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 254497 জন
নারীদের ধর্ষণ করাই টুনু'র নেশা ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

ছোট বড় বিভিন্ন বয়সী নারীদের ধর্ষণ করাই একমাত্র নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশার বাসিন্দা টুনু'র (৪৫)


সিরিয়াল কিলার রসু খার কথা মনে করিয়ে দিল টুনু, ৪৫ বছর বয়সী টুনু'র বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম   সদুরচর এর হাক্কা ঘাটা এলাকায়। সে হাক্কা ঘাটা এলাকার দরবেশ আলী বাড়ীর আব্দুর রব এর ছেলে ও এক‌ই এলাকার বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন এর মেয়ের জামাই।


টুনু'র নেশা হচ্ছে নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার রিলিফ কার্ড দেওয়া নাম করে সুযোগ বুঝে ধর্ষণ করা, আর এভাবে একের পর এক ধর্ষণ ঘটনা ঘটিয়ে ঐ এলাকায় টুনু হয়ে উঠেছে একজন সিরিয়াল ধর্ষক।


এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ জুন বৃহস্পতিবার টুনু'র হাতে ধর্ষনের শিকার হয় এক‌ই এলাকার আলাউদ্দি বাড়ীর এক গৃহবধূ, তার লাগাম টেনে ধরতে না পারলে কিছুদিনের মধ্যে হয়তো অত্র এলাকার ছোট বড় কোন নারীই রেহাই পাবে না তার থেকে। তার আরোও একাধিক নারীর সঙ্গে একইভাবে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যারা টুনু'র পরবর্তী টার্গেট।


টুনুর মিথ্যা মামলার ভুক্তভোগী জুয়েল জানান, টুনুকে একই এলাকার মাঝিবাড়ির এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন জুয়েল, পরে তা পুরো এলাকায় জানাজানি হয়। আর সেজন্যই টুনু ওই গৃহবধূকে দিয়ে জুয়েলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। 


ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়ি থেকে আমাকে সবাই ফোন দিয়ে আমার বউ ও টুনুর ঘটনা খুলে বলল।


তারপর তারা আমাকে বাড়িতে আসতে বলেছে আমি সাথে সাথে বাড়িতে চলে এসেছি বাড়িতে এসে আমি আমার স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে সে আমার কাছে স্বীকার করেনি।


পরে দুপুরে তরু মামু আমারে ডেকে নিয়ে বলল তুমি চুপ থাকো, তারপর সে আবার বউ ও শাশুড়ির সাথে আমাকে মৌখিক ভাবে মিলিয়ে দেয়। 


স্থানীয় বাসিন্দা রফিক গাজি ও মানিক গাজি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, টুনু বৃহস্পতিবার রাতে ওই মহিলার ঘরে ঢুকে তাকে দর্শন করে‌। তখন তাকে ঐ বাড়ির আলমগীর হাতেনাতে ধরে ফেলে।


আলমগীর তাকে হাতেনাতে ধরে অত্র এলাকার মুরুব্বীদের জানায়। কিন্তু কাশেম মেম্বার সেখানে আসে আলমগীরকে দোষী করে।


পরে মেম্বার সবাইকে পরের সপ্তাহে শুক্রবার বিকাল ৫ টায় সালিশ করবেন বলে তারিখ দেন। কিন্তু ওই তারিখে মেম্বার আর সালিশ করতে আসেনি, সালিশও করেনি।


এ বিষয়ে কাসেম মেম্বার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী মহিলা আলমগীরকে দোষী করে আমার কাছে নালিশ দেয়, কিন্তু যেহেতু পুরো এলাকায় টুনুর নামে বলা হচ্ছে, তাহলে কিছু ঘটলে তো কিছু রটে।


তবে টুনু এ কাজগুলো করার সুযোগ পাচ্ছে একটি কারণে। টুনু ওই এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মহিলা মেম্বার ও পুরুষ মেম্বাররা  ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ-সুবিধা ভোগী বিভিন্ন কার্ড ২০/২৫ টি তাকে দেয় ওই এলাকার অসহায় মানুষদের দেওয়ার জন্য, কিন্তু সেই কার্ডগুলোই টুনু অসহায় মহিলাদের দিতে গিয়ে এ ঘটনাগুলো ঘটে। 


ধর্ষনের ঘটনার বিষয় টুনু'র কাছে জানতে চাইলে সে  সাংবাদিকদের বলেন, এ দেশের সবাই বললে ও হবে না যারটা সে না বললে। ধর্ষণের ঘটনায় হাতেনাতে ধরেছিল জুয়েল তাকেও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন সে মামলার বাদী তো আর আমি না।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ রিপন আহমেদ

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন