ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ভোলায় অবৈধ ৪শ' বস্তা চিনি সহ ২ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ

  • আপলোড তারিখঃ 31-05-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 266825 জন
ভোলায় অবৈধ ৪শ' বস্তা চিনি সহ ২ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

ভোলায় ভারতীয় অবৈধ ৪শ' বস্তা চিনি সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভোলা জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি পুলিশ)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোঃ শাহীন (২৮) সে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নে ৫ নং ওয়ার্ডের শাহে আলমের পূত্র। ও ট্রাক চালক করিম (৩৫ )। লক্ষ্মীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার মান্দারি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তরিকুলের ছেলে।



বুধবার (২৯ মে) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি পুলিশ) এসআই মোঃ আসাদ ও এসআই মাসুদ এর নেতৃত্বে একটি টিম ইলিশা ইসলামিয়া মডেল কলেজের সামনের রাস্তায় ৪০০ বস্তা চিনি সহ ব্যবসায়ী মোঃ শাহীন ও ট্রাক চালক করিমকে আটক করে ভোলা মডেল থানায় নিয়ে আসে। পরে ফ্রেশ কোম্পানির মোড়ক নকল করা ও অবৈধ পন্থা অবলম্বন করার অপরাধে শাহীন ও করিম ও অজ্ঞাত ৩ জন সহ ৫ জনকে আসামী করে বিশেষ ক্ষমতা আইনের দন্ডবিধির ২৫/বি ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৭৮/২৪।



ভোলা জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



জানা যায়, ভোলা মহাজন পট্টি খাল পাড়ের মেসার্স জনতা ষ্টোর এর নেতৃত্বে কামাল ষ্টোর ও হাওলাদার ভান্ডার নামের ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর থেকে ফ্রেশ কোম্পানির মোড়কে ভারতীয় অবৈধ শত শত টন চিনি ভোলায় আমদানি করে আসছে। ব্যবসায়ীরা চিনিগুলো সরাসরি তাদের ব্যবসা প্রতিষ্টানে না উঠিয়ে শহর ও গ্রামের বিভিন্ন অলিতে গলিতে ট্রাক রেখে ভ্যানে ও ছোট ট্রলিতে করে লোক চক্ষুর আড়ালে গুদামঘরে উঠায়। পরে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীদের কাছে উচ্চ দরে তা বিক্রি করে। তাদের দ্বারা উৎসায়ীত হয়ে ইব্রাহিম, ইসমাইল সহ আরও কতিপয় ব্যাক্তি সহ এ নকল চিনি আমদানির সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। ইতিপূর্বে আরও ২/১ টি চালান ধরা পড়লেও সংঘ বদ্ধ চোরাকারবারিরা অর্থ ও ক্ষমতার জোরে পার পেয়ে যায় । চিনি গুলো ভারত থেকে চোরাই পথে আনা চিনি বলে জানা যায়। 


মেসার্স জনতা স্টোরের মালিক মোঃ ফারুক আহমেদ এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে দাম কমাতে পর্যাপ্ত চিনি বাজার জাত করার। তাই আমরা নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর থেকে ফ্রেশ কোম্পানির চিনি এনে বাজারজাত করি।



এ বিষয়ে ভোলার কয়েক জন সাধারণ ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, জনতা স্টোরের মালিক ফারুকের নেতৃত্বে সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ চিনির বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন যাবত এ সিন্ডিকেটটি অবৈধ চিনির ব্যবসা করে আসছে।



এ বিষয়ে এসআই আসাদ জানান, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর থেকে আমদানী করা চিনিগুলো আসল চিনি নয়। সাদা কাঁচের গুড়ার সাথে কার্বহাইড্রেড ও সেকারীন মিশিয়ে দানা করা হয়। এ চিনি খেলে মানুষের কিডনি ডেমেজ হতে পারে। পরীক্ষার জন্য এ চিনি বিএসটিআইতে পাঠানো হবে। তিনি আরও জানান, ফ্রেশ কোম্পানির সাথে আলাপ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন এই ফ্রেশ নামের মোড়ক নকল করা হয়েছে এবং এ চিনিগুলো তাদের নয়।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ রিপন আহমেদ

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন