পাবনা পৌরসভা একটি দেশের প্রথম সারির এ ক্যাটাগরির পৌরসভা। পাবনা পৌরসভায় বলে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ড্রেনেজ সিস্টেম ভালো থাকলেও পাবনা দই বাজার এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলল যে ড্রেনের মাঝে ময়লা আবর্জনার স্তুপ ও বিভিন্ন প্রকার পলিথিনের খালি প্যাকেট পড়ে আবদ্ধ হয়ে আছে।
আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে জানা গেলো পৌরসভার মেয়র, কমিশনার ও কর্মচারীরা রয়েছেন এটা তাদের দায়িত্ব। তারা দেখা শুনা করবেন! এখানে আশপাশের লোকজনকে বলা হলো আপনাদেরও তো দায়িত্ব রয়েছে আপনার শহর পরিস্কার রাখার। আপনাদের সচেতনা আন্তরিকতার অভাবেই তো জলাবদ্ধতা তৈরী হয়। আপনারা যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা পলিথিনের খালি প্যাকেট না ফেলে নির্ধারিত স্থানে বা ডাস্টবিনে ফেললেই তো পরিবেশ জলবায়ু ভালো থাকে।
এ বিষয়ে পাবনা জেলার বিশিষ্ট কবি কলামিস্ট সাংবাদিক ও গবেষক পরিবেশ মানবাধিকারকর্মী, গ্রিনপিস বাংলা ও বিআরটিএন, পাবনা জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন -মানুষ আপনাকে ও আপনার পৃথিবীকে নিয়ে যতটুকু ভাবে, যদি তার এক-চতুর্থাংশ পরিবেশ প্রকৃতি ও জলবায়ু নিয়ে ভাবতো তাহলে অনেক আগেই আমরা পরিবেশবাদী মানুষ হতাম।
আমাদের সমাজের মধ্যে কিছু লোকজন তাদের সীমিত সামর্থ্য ও সদিচ্ছা দিয়ে পরিবেশ জলবায়ু প্রকৃতি ভালো রাখার কাজে মনোনিবেশ করে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি প্রকৃতি পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করছি, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সেশনে বিরুপ প্রভাব দেখেছি সেটা জনপ্রতিনিধিদের বা সমাজসেবকদের।
সবার আগে ভাবতে হবে আমার দেশ, আমার প্রকৃতি আমার পরিবেশ যদি ভালো থাকে তবে আমার জলবায়ুও বিরুপ আচরণ করবেনা। জনসচেতনতাই পারে মানুষকে সচেতন করতে, দেশ প্রেমিক নাগরিকদের সামাজিক মানবিক জলবায়ুগত সমস্যা সমাধানে প্রকৃতি ও পরিবেশ উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত করতে সম্পৃক্ত রাখতে।
তিনি বলেন, প্রকৃতি পরিবেশ জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে এবং সম্পৃক্ত রাখতে হবে। প্রকৃতি পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বেশি-বেশি ক্যাম্পেইন করতে হবে।
তাহলে কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যেতে পারে বলে আশা রাখি। আর আমাদের কে মন মানসিকতায় আরো উদার হতে হবে দায়িত্বহীনতার গন্ডি থেকে বের হয়ে এসে আত্মসচেতন মানুষে রুপান্তরিত হতে হবে।
ভাবতে হবে আমার প্রকৃতি আমার পরিবেশ আমার জলবায়ু আমি রক্ষা করবো তবেই আমরা বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে পারবো আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য! নচেৎ আমাদেরকে পরবর্তী প্রজন্মের অভিযোগের দায় থেকে কেউ বাঁচাতে পারবেনা।