ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইবিতে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন

  • আপলোড তারিখঃ 25-01-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 14718 জন
ইবিতে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে বায়োটেড ও আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি ইবি শাখার যৌথ আয়োজনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর ব্লাড স্ক্রিনিং করানো হয়।


ক্যাম্পেইনে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. একেএম নাজমুল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন বায়োটেডের নির্বাহী পরিচালক ড. সওগাতুল ইসলাম। ক্যাম্পেইনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিন্নাতুল করিম।


ক্যাম্পেইনে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে ড. সওগাতুল ইসলাম থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এসময় তিনি থ্যালাসেমিয়া কি? এর প্রতিকার ও চিকিৎসা এবং কিভাবে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ। এর ফলে শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত তৈরি হয় না। রোগীকে বেঁচে থাকতে অন্যের রক্তের উপর নির্ভর করতে হয়। দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীর গড় আয়ু প্রায় ৩০ বছর, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু জন্মের ৫ বছরের মধ্যেই মারা যায়। এটি সম্পূর্ণ নিরাময়ের উপায় নেই। তবে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আজকের তোমাদের এই আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। থ্যালাসেমিয়া নিয়ে ইউনিভার্সিটিতে কাজ করার পাশাপাশি গ্রাম লেভেলে কাজ করা উচিত। কারণ গ্রামের মানুষদের মাঝে এইসব সমস্যা নিয়ে বেশি অসচেতনতা রয়েছে। তাই তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তাহলে আমরা থ্যালাসেমিয়া থেকে রক্ষা পাবো। আমরা নিজেরা থ্যালাসেমিয়া থেকে সচেতন হবো এবং অন্যকেও সচেতন করবো।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ সেলিম মিয়া

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন