কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ করেছেন ছাত্রীর মা সামিম আরা সাথী।
তিনি বলেন, আমার মেয়ে মোছা. সানজিদা আহমেদ হিমু (১৬) পাকুন্দিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাকুন্দিয়া কর্ণফুলি কোচিং সেন্টারে কোচিং করতে যায়। প্রতিদিন কোচিং শেষ করে বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১ টার মধ্যে বাড়িতে ফিরে আসে। কিন্তু সেদিন সারাদিন পার হয়ে যাওয়ার পরও আমার মেয়ে বাড়িতে ফিরে না এলে আমার সন্দেহ হওয়ায় আমি কোচিং সেন্টারে ফোন করে জানতে পারি আমার মেয়ে কোচিং শেষ করে চলে যায়। তখন আমি আমার নিকট আত্মীয় ও তার বান্ধবিদের বাড়িতে খুঁজাখুজি করতে থাকি।
পরে আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে একটি মোবাইল (নং- ০১৯০২- ৭০১৫৯১, ০১৯২৪৩৪৬২২৩) থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আমার নাম্বারে ফোন করে বলেন, আপনার মেয়ে আমাদের কাছে আছে এ বিষয়ে থানা পুলিশকে অবহিত না করে আপনি ঢাকার আজমপুর ওভার ব্রিজের নিচে চলে আসুন এবং আপনার মেয়েকে নিয়ে যান।
তখন অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তির কথা বিশ্বাস করে আমি ঐ স্থানে যাই এবং ওই ফোন নাম্বারে অনেক বার ফোন করলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোন রিসিভ করলে তাকে আমি সবিনয়ে বলি যে আমার সাথে প্রশাসনিক কোন লোক নেই আপনি আমর মেয়েকে নিয়ে আসেন। কিন্তু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আমার মেয়েকে নিয়ে আসেনি এবং বলেন যে আপনারা চলে যান। আপনার মেয়ে এখানে নেই। তারপরও সারারাত অপেক্ষা করে আমার মেয়ের কোন সন্ধান না করতে পেরে আমি বাড়িতে চলে আসি।
বর্তমানে আমি আমার মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে এবং বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবগত করে থানায় গিয়ে অভিযোগ করি ।
পাকুন্দিয়া থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াৎ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে আমাদের অভিযান চলছে। আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।