কিশোরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকচুরি গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত জয়কৃষ্ণ বর্মনের স্ত্রী গীতা রানী বর্মণ (৬৫)এর বাড়িতে আক্রমন করে লুটপাটের মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
গ্রেফতার মো. মিজান ভূইয়া (২৭) কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ এলাকার ওমর ফারুক ভূঁইয়ার ছেলে। বুধবার, ১৫ জানুয়ারি রাত ১টার কিছু পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে জেলা শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিক দের বিষয়টি জানান, র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জুয়েল চাকমা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন বিকাল আনুমানিক ৩টার সময় কিশোরঞ্জ জেলার সদর থানাধীন রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়ার এর নেতৃত্বে মো. মিজান ভূইয়াসহ আরো ১০/১৫ জন দুস্কৃতিকারী দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্রাহ্মণ কচুরী গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত জয়কৃষ্ণ বর্মনের স্ত্রী গীতা রানী বর্মণ (৬৫)এর বাড়িতে আক্রমন করে। অতঃপর তারা বাড়িঘর ভাংচুর করে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করতঃ বাড়ির আলমারী ও সুকেস ভাংচুর করে নগদ ১৫ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে বাড়িটি দখল করে নেয়। এছাড়া ও পরবর্তীতে ১৬ অক্টোবর পুনরায় বাদির বাড়ির ঘরের ৩টি দরজা ভেঙ্গে নিয়ে যায় ও তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। ইদ্রিস মিয়া ও তার অনুসারীদের হুমকিতে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা প্রাণ রক্ষার্থে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে জীবন যাপন করছে।
এ হামলার ঘটনায় গীতা রানী বর্মণ (৬৫) বাদি হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করে এবং মিজানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আসামিকে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।