ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নড়েচড়ে বসেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। নতুন করে মাঠ পর্যায়ে তথ্য হালনাগাদ করছে সংস্থাটি। আর এতেই বেড়িয়ে আসছে বিগত সরকারের দলীয়করণের চিত্র।
টিসিবির ৮২৭৩ জন ডিলারের মধ্যে ৮ হাজারই আওয়ামী লীগ নেতা। এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে দলীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের পছন্দমতো। তাদের কাছে দলীয় ডিলাররাই পণ্য বিক্রি করছেন। অধিকাংশ ডিলারই পলাতক। এ অবস্থায় টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের সহায়তায় পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। অপরদিকে ফ্যামিলি কার্ড তথ্য যাচাইয়ে ডিসিদের চার দফা চিঠি দিয়েও জবাব পায়নি টিসিবি।
সারা দেশে কমপক্ষে ১৩টি জেলা ও ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে তথ্য অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে অধিকাংশ ডিলার পলাতক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে তিনি বলেন, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৮ হাজার ২৭৩ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে অর্ধেকই নিয়োগ হয় ২০২২ সালে। তড়িঘড়ি করে কোনো যাচাই ছাড়াই আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে এসব ডিলারশিপ ইস্যু করা হয়। এরপর এমপি-মন্ত্রীর ডিও লেটার, প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের তদবিরে নিয়োগ হয় বাকি ডিলার। এককথায় দলের বাইরে কাউকে ডিলারশিপ দেয়নি সাবেক সরকার। সবমিলে আওয়ামী লীগের ডিলারের সংখ্যা ৮ হাজারের মতো।