বড় রাজনৈতিক পদ পদবী কিংবা মাঠের রাজনীতি বড় প্রভাব না থাকলেও গাজীপুরের সবচেয়ে লাকি ম্যান ছিলেন এই ব্যক্তি। নাম আসাদুর রহমান কিরণ। টঙ্গীর ৪৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হয়ে নির্বাচিত মেয়রের চেয়ে বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র ছিলেন অধ্যাপক এম এ মান্নান স্যার। ২০১৩ সালে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হোন। কিন্তু তৎকালীন ফ্যাসীবাদী সরকার নির্বাচিত প্রতিনিধিকে জেলে ঢুকিয়ে প্যানেল মেয়র আসুদার রহমান কিরণ কে দায়িত্ব দেয়। একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর হয়ে দেশের সর্ববৃহৎ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব প্রায় তিন বছরের পালন করেন। আর এ সুযোগে ভাগিয়ে নেন হাজার কোটি টাকা।
আবার ২০১৮ তে সর্বোচ্চ বলপ্রয়োগ করে জাহাঙ্গীর আলম যখন মেয়র নির্বাচিত হয়। তার পরবর্তীতে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তির ভিডিয়ো ভাইরাল হলে তার মেয়রের পদ যায়। আবারো দৃশ্যপটে সেই সুবিধাভোগী কিরণ।আবারো চেপেপুটে খাওয়ার সর্বোচ্চ সুযোগ আসে।যার পুরোটা কাজে লাগান দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়রের চেয়ারে বসে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মতো গাজীপুর সিটির চেয়ারে কোনো মেয়র'ই পূর্ণ মেয়াদ দায়িত্ব পালন না করতে পারলেও, কিরণ সাহেব ঠিকই দুই সময়েই সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়েছেন। নগরবাসীকে উন্নয়ন বঞ্চিত করে লাখ লাখ মানুষকে ভোগান্তিতে রেখেছেন। সিটি কর্পোরেশন কাজ ছিলে মন্থর।
গাজীপুরের ক্ষমতার অন্যতম সুবিধাভোগী,অবৈধ পথে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া কিরণ ভারতে পালাবার পথে যশোরে গ্রেফতার হয়েছেন। সংবাদপত্রগুলো জানাচ্ছে তার বিরুদ্ধে বেশকিছু মামলা আছে।
গাজীপুর সিটির একজন নাগরিক হিসেবে এ সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ কিরণের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি।