পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় হাট বাজারে দোকানের সার্টারের সাথে লাল টেপ দিয়ে লাগানো লিফলেট দেখে এলাকাবাসীরা সাধারণ শান্তিপ্রিয় জনসাধারণ আতংকিত হয়ে পড়েছে। ফৈলজানা ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজার তথা স্কুলের দেওয়াল, দোকানের সার্টারের সাথে লাল টেপ দিয়ে লাগানো লিফলেট দেখে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেেন।
উল্লেখ্য বিগত আঠারো বছর ধরে পাবনার বিভিন্ন এলাকায় পুর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি! সাধারণ মানুষ বিগত আঠারো বছরে সর্বহারা পার্টির অস্তিত্বের কথাও চিন্তা করেনি। হঠাৎ করেই মঙ্গলবার(২২অক্টাবর২০২৪) সকাল থেকে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির লিফলেট বিভিন্ন হাট বাজারে দোকানের সার্টারের সাথে দেখে আতংকিত বোধ করছে।
বিভিন্ন বাজারের নৈশ প্রহরীদের সাথে(নাম না প্রকাশ করার শর্তে) কথা বলে জানা যায় যে, অপরিচিত দুই জন লোক (হেলমেট পরিহিত) মোটর সাইকেল চেপে এসে ঐ পোস্টার/লিফলেট লাগিয়েছে ও কিছু পোস্টার ছিটিয়ে ছড়িয়ে গেছে।
এলাকার সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে যে, বিগত তত্বাবধায়ক সরকার ও হাসিনা সরকারের আমলে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির কোন অস্তিত্ব, কার্যক্রম চোখে পড়েনি। হাসিনা সরকারের পতনের পর কি আবারও চরম পন্থী, পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্যই কি লিফলেট বিতরণ বা তাদের উপস্থিতি বোঝাতে এই দেওয়ালে দেওয়ালে লিফলেট লাগানো!
এলাকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে নাকি পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির লোকেরা কথা বলে প্রচলিত আছে ! তবুও সেই খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের মনেই এখন প্রশ্ন উঠেছে যে, এতদিন কি তাহলে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির লোকেরা আত্ম গোপনে ছিলো নাকি তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ছিলো? ফলে সাধারন জনগন অনেকটাই আতংকিত, এছাড়াও নিত্য পন্যের যে লাগাম হীন মুল্য তাতে করে একটু ডাল ভাত খাওয়ার মত অবস্থাও হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে নানা রকম অনিশ্চয়তা ও এহেন পরিস্থিতিতে আবার পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির লিফলেট বিতরণ যা এলাকার জনসাধারনকে উভয় সংকটে ফেলেছে।
এলাকার সাধারণ জনগনের পাশাপাশি হঠাৎ করেই পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির উপস্থিতি জানান দেওয়া লিফলেট বিতরণের কারনটাও অনেক উদ্বেগের কারণ তৈরি করেছে। প্রশাসনের নজরে বিষয়টি আনার জন্য সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার সাধারণ জনগন। বলাবাহুল্য বিলিকৃত লিফলেটে লেখা রয়েছে "পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টির মাওবাদী বলশেভিক পুনর্গঠন আন্দোলন(এমবিআরএম) কর্তৃক প্রকাশিত প্রচারিত। এপ্রিল, শেষ সপ্তাহ, ২০২৪"।