গত ৩১ বছর পরে ডুম্বুর বাধ খুলে দিলো ভারত প্লাবিত হয় বাংলাদেশে প্রায় ১৪ টি জেলা পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বন্যার্তদের উদ্ধারে জন্য কাজ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া, তাদের খাবার, পোশাক, স্বাস্থ্য এবং পূর্ণবাসন দেওয়ার জন্য কাজ করে এসব সংগঠন। বন্যার্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে ঝালকাঠি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "আমরা ঝালকাঠিবাসী" গত ৩০/০৮/২০২৪ ইং লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
উক্ত সংগঠনের সদস্য মোঃ আসাদুজ্জামান লাবিব আমাদেরকে জানান, আমরা আমাদের লক্ষ্মীপুরের বন্যার্ত ভাইদের পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী সফলভাবে বিতরণ করতে লক্ষ্মীপুর গিয়েছিলাম আমরা প্রায় ৪৫০ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি।
আমরা এমন বন্যা কবলিত অংশে গিয়েছিলাম যেখানে কোনো প্রকার সাহায্য আগে পৌঁছায়নি। এমন কিছু গ্রাম চিহ্নিত করে সেইখানে আমরা উপহার সামগ্রী বণ্টন করেছি যেখানে আস-সুন্নাহ বা অন্যান্য কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পৌঁছাতে পারেনি।
আমরা আমাদের অনুমানের থেকেও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি আরো বলেন এমন জায়গায় আমরা গিয়েছিলাম যেখানে মেইন রোডের উপরে ৭-৮ ফুট পানি ছিলো তখনো এমন কিছু লোকজনকে আমরা পেয়েছি যারা গত ৩-৪ দিন ধরে না খেয়ে আছে এমন ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের মাঝে খাবার পৌঁছে দিতে পেরে আমরা আন্তরিক ভাবে সন্তুষ্ট ।
আমাদের ৭ দিনের পরিশ্রম ও আমাদের ঝালকাঠীর সর্বস্তরের জনগণের আমানত আমরা যথাযথ ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছে দিতে পেরেছি এটাই আমাদের সবথেকে বড় প্রাপ্তি।
এই সাফল্য আমাদের একার নাএই সাফল্য আমার সহযোদ্ধাদের যারা দিন-রাত রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে বন্যার্ত মানুষের জন্য উপহার সামগ্রী জোগাড় করেছে তাদের সকলের ।
এই সাফল্য আমাদের বড় ভাইদের যারা আমাদের সর্বাবস্থায় সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এই সাফল্য আমাদের ছোট ভাই- বোনদের যারা নিজেদের শরীরের দিকে না তাকিয়ে আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করেছেন ।
আমরা ঝালকাঠিবাসী' সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা বলেন,এই সাফল্য সেই সকল মানুষদের যারা বিশ্বাস করে তাদের আমানত আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন এই ভেবে যে তাদের আমানত এই ছোট বাচ্চাগুলো সঠিক হাতে পৌঁছে দিবেন তাই মনের অন্তঃস্থল থেকে আমরা আমাদের সকল সহযোদ্ধাদের ধন্যবাদ দিতে চাই।