সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ বাজারস্থ সামিরন স্মৃতি গণ পাঠাগারের আয়োজনে "মনোগ্রাহী জীবনের ছবি আঁকা হলে-রসোত্তীর্ণ চেতনাকেই সাহিত্য বলে" স্লোগানে শুক্রবার (৩০শে আগষ্ট ২০২৪) বিকেল তিন ঘটিকায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় চলনবিল অঞ্চলের (দশটি উপজেলার) শতাধিক কবি সাহিত্যিক গবেষকদের মিলন মেলা ও জামাল উদ্দিন সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠান।
সামিরন স্মৃতি গণ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি।
ডঃ মোঃ খায়রুজ্জামান মননু-র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরণ্যে লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গীতিকার-নাট্যকার(BTV.BB)ও কবি -গবেষক অধ্যাপক নুরুজ্জামান মুসাফির(ভাঙ্গুড়া), সাংবাদিক-গবেষক কবি আব্দুর রাজ্জাক রাজু(তাড়াশ), নুরে আলম খান হীরা (সিরাজগঞ্জ), কবি ও গবেষক মোঃ নুরুজ্জামান সবুজ (ভাঙ্গুড়া), সহকারী অধ্যাপক ফিরোজা বিউটি (কবি ও সংগঠক, তাড়াশ মহিলা ডিগ্রী কলেজ), বিশিষ্ট গবেষক ও সংগঠক মোঃ সেলিম রেজা(প্রতিষ্ঠাতা- আলোকিত সাহিত্য পরিষদ ও পাঠাগার, উল্লাপাড়া), মোঃ ফিরোজ আলম (গবেষক, উল্লাপাড়া), আজিজুল হক আজিজ (গুরুদাসপুর), এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ -কবি-কলামিস্ট,সাংবাদিক-গবেষক,পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী,চাটমোহর,পাবনা।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে গভীর শ্রদ্ধার সাথে চলনবিলের কৃতি সন্তানদের ও প্রয়াত কবি সাহিত্যিক সাংবাদিকদের স্মরন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অতিথিগন চলনবিলের সাহিত্য আকাশে সম্ভাবনা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাহিত্য মন্ত্রণালয় গঠনের জোর দাবী জানান ডঃ মোঃ খায়রুজ্জামান মননু সামিরন স্মৃতি গণ পাঠাগার গঠনের প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন ও জামাল উদ্দিন সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ প্রদানের মাহাত্ম তুলে ধরেন তিনি বলেন প্রয়াত জামাল উদ্দিন একজন জনপ্রতিনিধি ও মফস্বল লোক সাহিত্যিক ছিলেন তিনি আমার জন্মদাতা পিতা আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলে জন্ম গ্রহন করে আমি তখন সন্তান প্রতিবন্ধী হওয়ার ওজন অনুভব করি চলনবিল অঞ্চলের প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের কে সুস্থ করতে এই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা করি। এখন অসংখ্য বাচ্চাকে এখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে পুনর্বাসনও করা হয়েছে কয়েকজনকে থেরাপির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের শিক্ষা দিতে পেরে আমি গর্বিত ও আনন্দ বোধ করি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের জন্য তার প্রতিষ্ঠিত স্কুল নিরলস ভাবে সেবাদান করে যাচ্ছে যুগাধিককাল সে বিষয়ে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেন।
চলনবিলের কবি সাহিত্যিকদের মধ্য স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন অধ্যাপক মোঃ নুরুজ্জামান মুসাফির, (শরৎনগর,ভাঙ্গুড়া), কবি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজু (তাড়াশ), ডঃ খালিদ মোস্তফা (চাটমোহর), মোঃ রজব আলী (অষ্টমনিষা,ভাঙ্গুড়া), অ্যাডভোকেট মোঃ মোখলেছুর রহমান (নাটোর জজ কোর্ট)কবি এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ(চাটমোহর,পাবনা), কবি নিলুফা ইয়াসমিন নীলা (তাড়াশ)।
নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন মোছাঃ আরজিনা খাতুন (তাড়াশ) ও জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত শিশু শিল্পী অর্নব কুমার (উল্লাপাড়া) চলনবিলের কবি-সাহিত্যিক, গবেষকদের মধ্যে থেকে ২০২৪ সালের সেরা কবি হিসেবে মনোনীত হন তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ তথা চলনবিলের কাঁদা-মাটি প্রেম-দ্রোহ বাস্তবতা নিয়ে লেখায় যিনি আপোষহীন, স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকারদের সম্মুখে প্রকাশ্যে রাজাকার উচ্চারণকারী কবি, তারুণ্যের চেতনাদীপ্ত অহংকার বিশিষ্ট গবেষক ও সাংবাদিক কবি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজু।
তাকে উত্তরীয় পড়িয়ে দেন প্রধান অতিথি ও সভাপতি, পুরস্কার তুলে দেন কবি ফিরোজা বিউটি, কবির হাতে সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথি মন্ডলীরা। চলনবিলের দশটি উপজেলা থেকে আগত কবি সাহিত্যিকদের যথাযথ আপ্যায়ন করেন ডঃ মোঃ খায়রুজ্জামান মুননু, এছাড়াও প্রতিবছর এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সকলের গঠন মুলক পরামর্শ ও সহযোগিতা চান! এ বছর শতাধিক কবি সাহিত্যিক উপস্থিত হলেও আগামী আরো ব্যপক পরিসরে অনুষ্ঠান করা ইচ্ছা পোষন করেন।
সঞ্চালনা করেন কবি মোঃ নুরুজ্জামান সবুজ ও মোঃ রেজাউল করিম(উল্লাপাড়া), মোঃ আরিফুল ইসলাম (সহকারী অধ্যাপক,তাড়াশ)।