ঢাকা | বঙ্গাব্দ

স্বীকৃতি না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধার মানবেতর জীবন যাপন

  • আপলোড তারিখঃ 17-08-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 203474 জন
স্বীকৃতি না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধার মানবেতর জীবন যাপন ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা সালে আহমদ।কিন্তু এখনো স্বীকৃতি না পেয়ে মানবেতর  জীবন যাপন ৭৭ ঊর্ধ্ব বয়সী মুক্তিযোদ্ধা রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সালে আহমদ।


দীর্ঘদিন চেষ্টা তকদির করেও স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও  মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি ফলে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত দেশের এই বীর সন্তান। 


সালে আহমদ বলেন ১৯৬৯-৭০ সালে বাংলাদেশ সমবায় সমিতি সাথে আদা হলুদের ব্যবসায়িক সূত্রে খাগড়াছড়িতে থাকতেন যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন সেখানে এক নম্বর সেক্টর কমান্ডার নুর মোহাম্মদ ও আবদুল হালিম এর তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে।


ঘাগরাছড়ি,মহালছড়ি,মাইটছড়ি,মানিকছড়ি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধে অংশ নেই তখন আমাদের কারো হাতে বন্দুক আছে আর কারো হাতে লাটি,বললব,সেল ছিল এবং সাথে মরিচের গুড়া নিয়ে আমরা হানাদার বাহিনির উপর ঝাপিয়ে পড়ি।


তখন তারা পিছু হটতে শুরু করে।তখন আমাদের সাধারন  ক্যামপ ছিল ঘাগড়াছড়ি বাজারের পূর্ব পাশে বর্তমান যেখানে থানা কোট হয়েছে তৎকালীন কোট ছিল রামগড়ে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করতে করতে এক পর্যায়ে আমরা ভারতে অবস্থান করি সেক্টর কমান্ডারের নির্দেশে আমরা কয়েকজন খাগড়াছড়িতে চলে আসি খাগড়াছড়ি থেকে পাক হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন খবরা খবর বিভিন্ন সূত্রে আমাদের সেক্টর কমান্ডারের কাছে পৌঁছায়।


পরে ঘাগড়াছড়ি বাজার থেকে আমাদের কয়েকজন কে আটক করে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ওদের ক্যাম্পে নিয়ে যায় ক্যাম্পে নিয়ে আমাদেরকে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে।


তৎকালীন খাগড়াছড়ি বাজারের ব্যবসায়ী সিদ্দিক আহমদ প্রকাশ সিদ্দিক বেকারি খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি বাজারের আরো কয়েকজন ব্যাবসায়িকে সাথে নিয়ে পাকিসতানি হানাদার বাহিনীর কবল  থেকে আমাদেরকে মুক্ত করে।


পরে আমরা আরো বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ শুরু করলে এরা কয়েকজন নিহত হয় আরো বেশ কয়েকজন পিছু হটে ক্যাম্প ছেড়ে চলে যায়।


আমি মুক্তিযোদ্ধা অংশ গ্রহন করলেও কাগজ কলমে তার স্বীকৃতি মেলেনি স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণকারী সালে আহমদ বয়সের ভারে নুয়ে  পড়েছেন। ঝাপসা চোখে এখন শুধু মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি চোখে ভাসে।


তিনি বলেন আমরা সেই সব সৌভাগ্যবান মুক্তিযোদ্ধা যারা এখনো বেঁচে আছে স্বাধীন স্বদেশ দেখেছি এটাই তো জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা কিন্তু আজ খুব কষ্ট পাই যখন দেখি মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় তালিকায় আমার নাম নেই আমি মরার আগে রাষ্ট্রীয় তালিকায় আমার নাম অন্তর্ভুক্তি করতে চাই।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ রিপন আহমেদ

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন