ভোলায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ১ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভোলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জসিম (৪০) নামে একজন মারা গেছে বলে ভোলা সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল কুমার শীল দ্য স্বাধীন একাত্তর কে নিশ্চিত করেছেন।
সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ অন্তত শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জমায়েত হয় আন্দোলনকারীরা। ১০টার দিকে তারা ইলিশ চত্বর দখল করে।
বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে কালিনাথবাজার, মহাজনপট্টি, বরিশাল দালান হয়ে বাংলা স্কুল মোড়ে পৌঁছালে ছাত্রলীগ বাধা দেয়।
কিন্তু ছাত্রজনতার তোপের মুখে টিকতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।
বিক্ষোভকারীরা ছাত্রলীগের মোটরসাইকেলে, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, উপজেলা ভূমি কার্যালয়, ভোলা পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ডিসি অফিসে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়।
পরে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
হামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ২৫ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে নেতা-কর্মীরা।