কিশোরগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বড়বাজার মাছমহল সেতু। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাফেরা করে,তবে সেতুর দুপাশে প্রতিদিন কাঁচাবাজার অর্থাৎ শাক সবজির বাজার বসায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারি ও জনসাধারণের।
বেশকিছুদিন আগে জেলা পুলিশের নির্দেশে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ সেতুর দু’পাশের কাঁচাবাজার উচ্ছেদ করে কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই পুনরায় সেতুর দু ‘পাশ দখল করে কাঁচাবাজার।
বসায় ভাসমান অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা।এতে আবারো দুর্ভোগে পড়েছে পথচারি ও জনসাধারণ তবে বিকল্প ব্যবস্থা বা বিকল্প স্থানের ব্যবস্থা না হওয়ায় আবারো ভাসমান অস্থায়ী দোকান পেতে বসেছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তাদের বসার অন্য কোন স্থান না থাকায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখানেই সেতুর উপর বিভিন্ন শাক সবজি ও কাঁচাবাজার নিয়ে বসেছেন তারা পথচারি ও জনসাধারণ বলছে তাদের দুর্ভোগের কথা।
বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বড়বাজার এলাকার মাছমহল সেতুর দু’পাশে বিভিন্ন কাঁচা শাক সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।
এ সময় কথা হয় পথচারি জামিল আহমেদ এর সাথে। তিনি বলেন,কিছুদিন আগে পুলিশ এসে তাদের উঠিয়ে দিলেও ক‘দিন পরেই আবার তারা দোকান পেতে বসেছে এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে আমাদের। অপর এক পথচারি সাগর মিয়া বলেন,সেতুর দু’ পাশের বাজারের কারণে সেতু দিয়ে চলাফেরা করা দায় হয়ে পড়েছে।
আরেক পথচারি রিয়াদ বলেন,কিছুদিন আগে সেতুর দু’পাশ খালি করায় খুব ভাল লেগেছিলো স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারতাম।কিন্তু এখন আবার দু ‘পাশে বাজার বসায় চলাফেরা করতে খুব কস্ট হচ্ছে।
রিকশাচালক রুবেল মিয়া বলেন,বিরিজের (ব্রিজের) দুইফাশের বাজারের লাইজ্ঞা এইন্দে (এদিক দিয়ে) রিকশা লইয়া যাইতে খুব কষ্ট অয়(হয়)।জাম (জ্যাম) লাইজ্ঞাই তাহে (থাকে) হগ্গল সময়।
এদিকে সেতুর দুপাশের ভাসমান অস্থায়ী কাচাঁবাজার ব্যবসায়ীরা বলেন,আমাদের ত যাওয়ার আর কোন জায়গা নাই। তাই বাধ্য হয়েই এখানে বসেছি।এসব কাঁচামাল শাক সবজি বিক্রি করতে না পারলে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।
এদিকে সেতুর দু’পাশের জায়গা আবারো উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ,অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন,আমরা কিছুদিন পূর্বে সেতুর দু পাশের কাচাঁবাজার উচ্ছেদ করেছিলাম।আবারো তারা বাজার বসিয়েছে অচিরেই আবার সেতুর দু পাশের বাজার উচ্ছেদ করা হবে।
পৌর মেয়র পারভেজ মিয়া বলেন,উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সেতুর দু পাশের ওয়াকওয়ে উদ্ধার করা হবে যেন পথচারি ও জনসাধারণ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে।