পার্থেনিয়াম একটি আগাছা জাতীয় উদ্ভিদ। এর উচ্চতা এক থেকে দের ফিট হলেও ক্ষতির দিকটা আকাশচুম্বি।
বর্তমানে দেশের পথে-প্রন্তরে দেখা মেলে এই উদ্ভিদের। কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও এর বিকল্প নয়। ইবি ক্যাম্পাসের ওলিতে গলিতে জন্মেছে মৃত্যদূত পার্থেনিয়াম। বিশেষ করে সাদ্দাম হোসেন হলের উত্তর ও পুর্ব পাশে এবং কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে রয়েছে এ উদ্ভিদের আধিক্য। এছাড়াও কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, ফুটবল মাঠের পুর্ব পাশে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আঙ্গিণায় জন্মেছে প্রচুর। মফিজ লেক, পেয়ারা বাগান, শহীদ মিনার এলাকাসহ বিচ্ছিন্নভাবে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে রয়েছে পার্থেনিয়াম।
উল্লেখ্য, পার্থেনিয়ামের পুরো শরীরটাই ক্ষতিকর। বিশেষ করে ফুলের রেনুতে থাকা "সেস্কুটার্পিন ল্যাকটোন" জাতীয় পদার্থ। যার নাম পার্থেনিন। এছাড়াও রয়েছে ক্যাফেইক অ্যাসিড ও পি-অ্যানিসিক অ্যাসিড যা চর্মরোগ সৃষ্টির অন্যতম রাসায়নিক। ফুলের রেনু নাকে প্রবেশ করলে হতে পারে হাঁপানি, শাসকষ্ট ও জ্বর। এলার্জি রোগীদের চামড়ায় পার্থেনিয়ামের রস লাগলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। গবাদি পশু খেলে অন্তে ঘাঁ হয় এবং দুধ উৎপাদন কমে যায়। যেকোনো ধরনের ফসলের উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে এই পার্থেনিয়াম।
কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তুষার আলী বলেন, পার্থেনিয়াম আমাদের জন্য অত্যাধিক ক্ষতিকর একটি উদ্ভিদ। প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ক্ষতিকর আগাছা পরিস্কার করা হোক।
এ বিষয়ে এস্টেট অফিস প্রধান সামছুল ইসলাম জোহা বলেন, এর আগেও বেশকিছু পার্থেনিয়াম নিধন করেছি। পার্থেনিয়ামসহ সব ধরনের আগাছা নিধনের কাজ চলমান। আমাদের জনবল কম থাকায় কাজের গতি কম। প্রয়োজনে অতিরিক্ত জনবল নিয়ে খুব দ্রুতই পার্থেনিয়ামসহ সকল আগাছা পরিষ্কার করব।
পার্থেনিয়াম নিধন করা যেমন জরুরী তার চেয়ে বেশি জরুরী নিধনকালে সতর্কতা অবলম্বন করা। এটি দমনের সময় অবশ্যই হাতে রাবারের গ্লাভস এবং মুখে মাস্ক পরিধান করতে হবে।