স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কিছু ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপূর্ণ ভুল তথ্যে ভরা মন্তব্য ও রাজনৈতিক বক্তৃতা বাড়ছে, যা বাংলাদেশবিরোধী মনোভাবকে উসকে দিচ্ছে।আগরতলায় বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনে সর্বশেষ হামলাটি যে অস্থিতিশীল প্রভাবকে তুলে ধরেছে, তা শুধুমাত্র প্রতিবেশীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, প্রায় ২০ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ একক কোনো দেশের স্বার্থে কাজ করে না। হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কারণ কী, তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে কী ঘটছে এবং কেন কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা অপরিহার্য তা বস্তুনিষ্ঠভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে নানামুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন বাংলাদেশ। তবে মনে রাখতে হবে আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের দেশ ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব। এখানে জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষ প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত রয়েছে। আমি আমার সহকর্মী বাংলাদেশীদেরকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের জন্য এবং কোনো উসকানির শিকার না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।