খুলনায় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করায় উৎসব মণ্ডল (১৮) নামের এক যুবককে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা গত বুধবার রাতে পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পিটুনিতে যুবক নিহত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষ।
কিন্তু আইনশৃংখলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, যুবকটি মারা যাননি।তবে খুব আশংকাজনক অবস্থায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছেসেই কটুক্তি কারী যুবকটি কোথায় রয়েছে তা প্রকাশ করতে চাননি কেউ।
গতকাল রাতে স্থানীয়রা জানান, কলেজছাত্র উৎসব মণ্ডল মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তি করেন। বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে খুঁজে বের করে ধরে নগরীর সোনাডাঙ্গায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের (সাউথ) কার্যালয়ে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে হাজার হাজার ছাত্র ছাত্র জনতা সাধারণ মানুষ গিয়ে ওই কার্যালয় ঘেরাও এবং বিক্ষোভ শুরু করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
ছাত্র ও সাধারণ জনতা কটূক্তিকারীকে তাদের হাতে তুলে দিতে কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে উত্তেজিত জনতা মেইন গেট ও অফিস কক্ষের দরজা ভেঙ্গে অফিসে ঢুকে উৎসব মণ্ডলকে গণপিটুনি দেয়।
তবে রাত ১২টায় কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সাউথ) তাজুল ইসলাম জানান, আটক উৎসব মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তারপরও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। তারা উৎসবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এবং মসজিদের মাইকেও যুবক নিহত হওয়ার সংবাদ প্রচার করে উত্তেজিত জনতাকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো হয় তবে একটি মাধ্যম সূত্রে আমরা জানতে পারি যুবকটি গুরুতর অবস্থায় বেঁচে আছেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কোথায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তার নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে।
এদিকে ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতের নামে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন ইসলাম ধর্মীয় নেতারা কর্মীগণ।