অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের ঘোষণায় আনন্দ মিছিল করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় উল্লসিত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে এ আনন্দ মিছিল বের করেন।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা এই মুহূর্তে খবর এলো, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো এই মুহূর্তে খবর এলো, সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধ হলো হৈ হৈ রৈ রৈ, সন্ত্রাস লীগ গেলি কই এই মুহূর্তে খবর এলো, ক্যাম্পাস সন্ত্রাসমুক্ত হলো’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয় মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার পদক্ষিণ করে পরে প্রশাসন ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কেউ ছিলো না শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে তারা হামলা করেছে সারাদেশে তারা অসংখ্য মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তাই ছাত্রলীগের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
এরআগে বুধবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
এই অবস্থায় সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল এছাড়া এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।