কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের নলিয়ারচর গ্রামের বন্যা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার, ২১ অক্টোবর ) সকালে ওই ইউনিয়নে স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বন্যা অক্তার সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের ধলিয়ারচর গ্রামের মো. হানিফ মিয়ার দ্বিতীয় সন্তান ও সদর উপজেলা চৌদ্দশত ইউনিয়নের জশিয়াইল গ্রামের আ. আওয়াল মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, তাদের বিয়ের পর থেকেই ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। নিহত গৃহবধূর চায়তো শাশুড়ির সংসার থেকে আলাদা হতে। কিন্তু স্বামী মায়ের থেকে আলাদা হবে না। এই নিয়ে কয়েকটি সামাজিক দরবারের পর সমাধান হলেও আজ সকালে তার নিজ গৃহ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের বাবা আবু হানিফ জানায়, ‘বন্যার বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি মানসিক অত্যাচার, নির্যাতন করত। মেয়ে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কয়েকবার আমাদের বাড়িতে চলে আসে। পরে কয়েকটি সামাজিক দরবার করে মেয়েকে পাঠালে শাশুড়ি ও মেয়ের স্বামী মেয়েকে কয়েকবার মারধর করেছে। কিছুদিন পূর্বে মেয়ে তার স্বামীকে প্রস্তাব করেছিল সে আর শাশুড়ির সংসারে একসাথে থাকবে না। সংসার আলাদা করতে। সেই জেরে মা ছেলে মিলে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে’।
কিশোরগঞ্জের মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে