প্রিন্ট এর তারিখঃ May 9, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ May 9, 2025 ইং
ভোলার মনপুরায় চুরি হওয়া মটর সাইকেল রহস্য জনক ভাবে উদ্বার

ভোলার মনপুরায় বিআরডিবি কর্মকর্তা মাহতাব অপুর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি গত ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে তার বাসার উঠন থেকে চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া মটর সাইকেল নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা নিউজ হয় এবং থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়,মনপুরা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মান্নান হাওলাদারের ছোট ছেলে আফফান হাওলাদারসহ চোর চক্র মোটরসাইকেলটি চুরি করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় চোর চক্র শনাক্ত হওয়ার পর মান্নান হাওলাদার মোটরসাইকেলটি মনপুরা থানায় পৌঁছে দেয়।
ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিও কল রেকর্ডের মাধ্যমে জানা যায়, এসআই রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশ তজুমুদ্দিন হতে মোটরসাইকেলটি উদ্ধারে গেলে মান্নান হাওলাদার তাকে বাধা দিয়ে বলেন, আপনি আপাতত ফিরে যান আমি নিজ দায়িত্ব নিয়ে মোটরসাইকেলটি পৌঁছে দেওয়া ব্যবস্থা করছি।
সে সময় এস আই রাসেল ও ফিরোজ নামের একজন মান্নান হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলে জানান, আফফানকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে, যাতে মোটরসাইকেলটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
তখন এসআই রাসেল মান্নান হাওলাদারকে সেই টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করতে বললে তিনি সম্মত হন। ফিরোজ চোর চক্রের সদস্য। তাকে সাথে নিয়ে পুলিশ অভিযানটি পরিচালনা করে।
মোটরসাইকেল উদ্ধার হওয়ার আগ পর্যন্ত সে থানা হাজতে আটক ছিল। পরদিন মোটরসাইকেলটি মনপুরা থানায় পৌঁছে দেয় মান্নান হাওলাদার এই ঘটনায় মনপুরা থানার ওসি কারও বিরুদ্ধে মামলা না নিয়ে উল্টো মোটরসাইকেলটি হাতে পাওয়ার পর আটক ফিরোজকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মনপুরা উপজেলায় আব্দুল মান্নান হাওলাদারের পরিবার গড়ে তুলেছে এক বিস্তৃত অপরাধের সাম্রাজ্য।
কেন্দ্রীয় যুবদলের একজন শীর্ষ নেতার আশ্রয়ে অপরাধে সাম্রাজ্য পরিচালনা করছে। বিএনপির ক্ষমতাকালীন সময়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় একের পর এক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে।
বিগত ১৭ বছর ধরে তার মেয়ের জামাই জাকির হোসেন (যিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি) তাদের এই অপকর্মে সক্রিয় সহায়তা করেছেন।
৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় যুবদলের একজন শীর্ষ নেতার আশীর্বাদ পেয়ে এই পরিবার আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে বলে জানা যায়।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান কবির জানান ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ স্বাধীন ৭১ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ