মোঃ বাবুল রানা, ভোলা প্রতিনিধি:।।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ভোলার সিয়াম। তার বাড়ি বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আলাউদ্দিন মিয়ার বড় ছেলে তিনি। এরই মধ্যে নেপালে আটক হয়েছেন সিয়াম।
এদিকে এমন জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডে নিজের সন্তান জড়িত থাকার খবরে হতবাক সিয়ামের বাবা আলাউদ্দিন এবং মা ফিরোজা খানম। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে খুনির বিচার চেয়েছেন তারা। আর শান্ত ও ভদ্রতার মুখোশের আড়ালে সিয়ামের এমন হিংস্রতার বিচার চেয়েছে এলাকাবাসীও।
ভোলার বোরহানউদ্দিনের পৌর ৮ নং ওয়ার্ডে সিয়ামদের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, ৩৮ বছর আগে চাকরির সুবাদে বরিশাল নগরীর বটতলা থেকে ভোলার বোরহানউদ্দিনে এসে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন স্কুল শিক্ষক আলাউদ্দিন মাস্টার। প্রথমে একটি সুইডিস মিশন স্কুলে চাকরি করলেও পরবর্তীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি হয় তার। বর্তমানে অবসরে রয়েছেন আলাউদ্দিন।
সিয়াম স্থানীয় কুতুবা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশের পর পড়াশোনা করতে চলে যান ঢাকায় । রাজধানী ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রে তিন বছর চাকরি করেন। পরে বেশ কিছুদিন বেকার সময় কাটিয়ে নতুন চাকরিতে যোগদান করেন। তবে সন্তান কি চাকরি করতে তা জানতো না তার পরিবার। সবশেষ পরিবারের সাথে ২৫ মে সিয়ামের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। সেদিন নেপালে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
সিয়ামের বাবা ও মা জানান, তাদের ছেলে ছোটবেলা থেকেই ছিল মেধাবী। কখনও কোনও খারাপ পথে চলতে দেখেননি তারা। কিন্তু হত্যার বিষয়টি নিয়ে দুজনই ভীষণ চিন্তিত। যদি সিয়াম এর সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে তার শাস্তি দাবিও জানান তারা।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিয়ামের বিচারের মাধ্যমে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা কলঙ্কমুক্ত করা হোক।
সিয়ামকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এরই মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে আনার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন মো. সিয়াম নেপালে আটক হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) নেপাল পুলিশ তাকে আটক করেছে।