
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কৌশল নির্ধারণে আন্তর্জাতিক মানবিক চিকিৎসা সংস্থা মেডিসিনস সান ফ্রন্টিয়ারস (ডক্টরস উইদাউট বর্ডার) এর আয়োজনে একটি দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
"ডেঙ্গু প্রতিরোধ কৌশল উন্নয়ন কর্মশালা’’ (Dengue Intervention Strategy Development Workshop) শীর্ষক এই কর্মশালাটি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় র্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ হোটেলে।
আরও উপস্থিত ছিলেন অং শু প্রু মারমা, ডিভিশনাল ডিরেক্টর, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন রানা, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইফতেখার উদ্দীন, ম্যালেরিয়া এন্ড মসকিউটো কন্ট্রোল অফিসার মোহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম মাহি, জাহাঙ্গীর আলম, সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশান, চট্টগ্রাম ভেটেরনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধি সহ মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্সের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।
এসময় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ, যা তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, গা-হাঁপানি, বমি এবং চোখের পেছনে ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ তৈরি করে। অনেক সময় এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। এজন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধের মূল কৌশল হলো মশার বিস্তার রোধ করা। এ জন্যই আমরা ‘ক্লিন, গ্রিন অ্যান্ড হেলদি সিটি’ ধারণাকে সামনে রেখে কাজ করছি।
নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। জমে থাকা পানি, পরিত্যক্ত বোতল বা নারকেলের খোল ইত্যাদিতে মশার লার্ভা জন্মায়, তাই এসব পরিত্যক্ত বস্তু দূর করাও অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চললেও এখনো তা গণহারে প্রযোজ্য নয়। তাই, প্রতিরোধই সর্বোত্তম কৌশল। মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি মশার বিস্তার রোধে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”
মেয়র জোর দিয়ে বলেন, “ডেঙ্গু মোকাবিলায় কেবল স্বাস্থ্য বিভাগ নয়, নগরবাসী, কমিউনিটি ও শিক্ষার্থীসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তবে ডেঙ্গুর মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব।”
অংশগ্রহণকারী চিকিৎসক, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা নগরবাসীর জন্য একটি সমন্বিত ও টেকসই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কৌশল তৈরির উপর জোর দেন।