চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন রোববার লালদীঘি পাড়স্থ সিটি কর্পোরেশন
কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, চট্টগ্রাম শাখার সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
সভায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা এবং দাবি নিয়ে আলোচনা হয়।
ছালামত আলীর সভাপতিত্বে সাজেদুল আলম মিল্টনের সঞ্চালনায়ে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়া।
মেয়র বলেন, “নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খোলা ম্যানহোল, চুরি হয়ে যাওয়া ঢাকনা ও স্ল্যাব, খালের পাশে সুরক্ষার অভাব –এসব বিষয় নগরবাসীর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। আপনারা এসব চোখে পড়লেই আমাদের জানাবেন। আমরা ইতোমধ্যে ইঞ্জিনিয়ার, পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছি।
বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমন্বিত রিপোর্ট হাতে পাবো।”
পরিচ্ছন্নতা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, “প্রতিটি দোকানে ময়লা ফেলার জন্য বিন দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের দোকানের সামনে বিনে ময়লা ফেলবেন। ময়লা রাস্তায় ফেললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হকার প্রসঙ্গে মেয়র জানান, “আমরা চাইলে হকারদের একেবারে উচ্ছেদ করতে পারতাম, কিন্তু তাদেরও পরিবার আছে। তাই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তারা সকাল থেকে বিকাল ৩টা থেকে রাত ১১ পর্যন্ত বসতে পারবেন। এরপর আমরা পরিকল্পিতভাবে ইভনিং নাইট মার্কেট চালু করবো।”
তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম একটি সম্ভাবনাময় শহর। এখানে বন্দর, খাতুনগঞ্জ, আগ্রাবাদ, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার রয়েছে। এ শহর বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই সবাইকে নিয়ে আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত ও আধুনিক শহর গড়ে তুলতে চাই।”
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার মনি, আবদুর রাজ্জাক, সেলিম নূর, হারুনুর রশীদ, আহম্মদ রশীদ আমু, আবুল কাশেম, আফসার হোসেন জসিম, জাকির হোসেন, মোঃ রফিক, গোলাপুর রহমান,ফরিদ আহমেদ, আবদুল গফুর ফন্টি, আবু তাহের, ইয়াছিন মোঃ মহিউদ্দিনসহ চট্টগ্রাম ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ।