
এলিটরা একটা সেটেলমেন্ট এর দিকে আগাচ্ছে। যেটাকে বলা হয় এলিট সেটেলমেন্ট।
এনসিপি এই এলিট সেটেলমেন্ট এর বাইরে পরে যাবে আপাতত।
সমাজে এলিট মানে কিন্তু শুধু বড়লোক না।
এলিট বুরুক্রেট, এলিট সাংবাদিক, এলিট সিভিল সোসাইটি, এলিট রাজনীতিবিদ সহ এলিট বিজনেস এবং এলিট মিলিটারি - এরা সবাই মিলে যে সেটেলমেন্ট সেটাই এলিট সেটেলমেন্ট।
একটা হিসেব আছে যে পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নাই যেটা আসলে ১,০০০ জনের বেশি মানুষ চালায়।
আমেরিকা বলেন কিংবা বুরুন্ডি --- সব দেশ মূলত ১,০০০ জনের থেকে কম মানুষ আদতে চালায়।
এদেরকেই বলা হয় এলিট সেটেলমেন্ট এর স্টেক হোল্ডার।
এই এলিটদের একটা ব্যাপার হলো "they have things to keep"
মানে হচ্ছে এলিটরা একটা দেশের বিভিন্ন ইনস্টিটিউট চালায়, সেটা হোক রিলিজিয়াস, হোক বিজনেস, হোক সামাজিক বা রাজনৈতিক।
তারা মূলত রিস্ক টেকার না।
এই মুহূর্তে ইউনূস সরকারের বেশির ভাগ কর্তা ব্যক্তিরা চিন্তিত তাদের পরবর্তী সিকিউরিটি নিয়ে। যাদের এখনো বয়েস আছে তারা তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে।
এরা সবাই গোপনে পলিটিকাল সেটেলমেন্ট করতে ব্যস্ত হয়ে উঠবে, উঠেছে ইতমধ্যেই।
এটাই স্বাভাবিক।
বিএনপি এবং জামাত এই সপ্তাহ থেকে একই সুরে কথা বলতে শুরু করেছে।
এর একটি মূল কারণ হচ্ছে বিএনপি এলিট সেটেলমেন্ট সব চাইতে বড় রাজনৈতিক স্টেক হোল্ডার। আর বিএনপির কাছে যারা তাদের ভবিষ্যত সিকিউরিটি দেখার দায়িত্ব দেবেন, তাদের এখন থেকেই বিএনপিকে একটা বিষয়ে সাহায্য করতে হবে।
সেই বিষয়টা হচ্ছে বিএনপির ইলেকশন ডিমান্ড তাদেরকেও ওউন করতে হবে।
কারণ যে জিনিসের বেনিফিট তারা সবাই পাবেন, সেটা তারা আগে থেকে ঔন করে প্রকাশ্যে কথা বলবেন না এটা বেশিদিন কন্টিনিউ করা সম্ভব না।
একারণে এখন থেকে দেখবেন সবাই ইলেকশণের দিন তারিখ চাবেন। সব দল এবং সিভিল সোসাইটি।
ইলেকশন ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারিতেই হবে।
তাহলে এন্সিপির কি হবে?
তাদেরকেও এই সেটেলমেন্ট এর পার্টনার হতে চেষ্টা করতে হবে একটা নতুন "পাওয়ারফুল" এলিট হিসেবে।
এনসিপিকে তার ইন্ডিপেন্ডেন্ট আইডেন্টিটি ধরে রেখে ইনস্টিটিউট বিল্ডিং করতে হবে।
তরুণদের একটা ভাইব্রেন্ট, ডেমোক্রেটিক দল হিসেবে আনন্দ এবং এনার্জি সহ ডেমোক্রেটিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে হবে, এজ ইফ তারাও এই ডেমোক্রেটিক সেটেলমেন্ট এর স্বতঃস্ফূর্ত এবং সবল পার্টনার।
তারপরে এনসিপিকে হতে হবে একটা শক্তিশালী প্রেসার গ্রুপ, যারা থাকবে পপুলার একটা গুরুত্বপুর্ণ গোষ্ঠীর কাছে।দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এবং শাসন ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে হবে।
এভাবে ১০ বছর কাটালে, একটা শক্তিশালী দল হিসেবে দাঁড়াবে এনসিপি।