প্রিন্ট এর তারিখঃ Apr 19, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Apr 20, 2025 ইং
টেন্ডারের কাজের টাকায় ‘জিলাপি খেতে’ চাইলেন ওসি! অতঃপর ফেঁসে গেলেন

কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার টেন্ডারের কাজের টাকায় জিলাপি খেতে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
কথোপকথনের অডিও রেকর্ডে শোনা যায় ওই কর্মকর্তা বলছেন, 'বললাম যে সেফটি সিকিউরিটি দিলামতো সারা জীবন। তোমরা যে ১৮ লক্ষ টাকার কাজ করে ১০ লক্ষ টাকা লাভ করলা দশ টাকার জিলাপি কিনেও তো পাবলিকেরে খাওয়ালে না। যে খাইয়া একটু দোয়া কইরা দেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের। তোমার জায়গা আমি হইলে সুদের উপরে টাকা আইনা আগে জিলাপি খাওয়াইতাম, দোয়াডা হইলো সবার আগে। পরেতো বিল পামু, তাই না। কথোপকথনে ওই কর্মকর্তা তখন বলেন, ঠিক আছে তাহলে জিলাপির অপেক্ষা করলাম নাকি? একপ্যাঁচ আদা প্যাঁচ জিলাপি দিলে হইবো। বিভিন্ন পারপাসে হইলে পাবলিক খাইলো আর কী বোঝোনা।'
এ সময় ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা বলেন, 'বিলটিল পাই একটা অ্যামাউন্ট দেখব না।’ এ কথার উত্তরে ওসি বলেন, 'ঠিক আছে।'
ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা আফজাল হুসাইন শান্ত জানান, 'আমি ইটনা উপজেলার বলদা হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১ হাজার ৪৮০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পাই টেন্ডারের মাধ্যমে। কাজ শেষ হওয়ার পরে থানায় গেলে তিনি জিলাপি খেতে টাকা চাইতেন তখন রেকর্ড করতে পারিনি।
ছাত্রনেতা জানান, 'পরে ফোনে কথা বললে ওসির সাথে আমার কথা হলে তিনি আমার কাছে ফসল রক্ষা বাঁধ করে যে লাভ হয়েছে এখান থেকে জিলাপি খেতে চাইছেন। আমি সরকারি কাজ পেয়েছি টেন্ডারের মাধ্যমে এখানে ওসি জিলাপি খেতে চাইতে পারে না। আমি এই ঘটনার বিচারের দাবি জানাই। আমার কাছে যদি জিলাপি খাইতে চাইতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা শান্তিতে আছে বুঝতে পারছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনিও অডিও রেকর্ডটি শুনেছেন। মজার ছলে তিনি ওই ব্যক্তির কাছে জিলাপি খেতে চেয়েছেন তবে টাকার অ্যামাউন্টের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কথা ঘুরিয়ে ফের বলেন এই কথোপকথনের অডিওটি এডিটিংও হতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে সেই দাবি জানাই।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, 'এ বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করবো। তদন্তে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ স্বাধীন ৭১ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ