নিজস্ব প্রতিবেদক,ভোলা:।।
লালমোহন থেকে পলাতক ওয়ারেন্টভুক্ত ও সাজা প্রাপ্ত আসামি ভাস্কর বরিশাল নগরীতে গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক,ভোলা:
র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে ভোলার লালমোহন থেকে পলাতক আট মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ও তিন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি প্রতারক ভাস্কর চন্দ্র হালদারকে বরিশাল নগরী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দ্বীপ জেলা ভোলার দায়িত্বে থাকা বরিশালের র্যাব ও ভোলার লালমোহন থানা পুলিশ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাত অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে বরিশাল নগরীর নতুন বাজার এলাকা তাকে থেকে গ্রেফতার করেন। মঙ্গলবার দুপুরে (৩০ জানুয়ারি) তাকে বরিশাল নগরী থেকে লালমোহন থানায় আনা হয়।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুল আলমের নির্দেশে চৌকস-সাহসী এসআই অপূর্ব মন্ডল ও শক্তি পদ মৃধা অভিযান পরিচালনা করেন। গ্রেফতারকৃত ভাস্কর চন্দ্র হালদার লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের লেঙুটিয়া এলাকার সুদির চন্দ্র হালদারের ছেলে, লালমোহন বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও লালমোহন সরকারি মডেল হাইস্কুলের শিক্ষক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাহবুব উল আলম বলেন, ব্যবসার সুবাধে ব্যাংক ও মানুষজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায় ভাস্কর চন্দ্র হালদার। এরপর তার বিরুদ্ধে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। ওইসব মামলার মধ্যে ভাস্কর চন্দ্রের বিরুদ্ধে আটটিতে ওয়ারেন্ট জারি হয় এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় তিন মামলায়।
ওসি আরো বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই অপূর্ব কুমার মন্ডল ও এস আই শক্তি পদ মৃধা সঙ্গীয় ফোর্স বরিশাল নগরীর কোতয়ালী থানা এলাকায় র্যাবের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চালিয়ে কোতয়ালী থানার নতুন বাজার এলাকা থেকে ভাস্কর চন্দ্র হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে থানায় আনা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারকৃত ভাস্কর চন্দ্র হালদারকে আদালতে পাঠানো হবে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ভাস্কর চন্দ্র হালদার দীর্ঘ ৫ বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও তিনি শিক্ষক ছিলেন। মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংকের ঋণ নিয়ে ২০১৯ সালের ৯ই এপ্রিল লালমোহন থেকে গা ঢাকা দেন ভাস্কর। ব্যবসার পাশাপাশি লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি নেন তিনি। এই ৫ বছরে লালমোহনে তার কোনো অস্তিত্ব না থাকলেও স্কুলের খাতায় তিনি হাজির ছিলেন প্রায় অর্ধেক সময় ধরে। নিয়েছেন সেই সময়ের প্রতি মাসের বেতনও। ভুয়া মেডিকেল প্রেসক্রিপশন দিয়ে তার দীর্ঘ সময়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে কেউই ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও প্রধান শিক্ষক বলছেন তার বেতন এখন স্থগিত আছে।
এর আগে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলেও তা আমলে নেয়নি কেউই।