ইমন চৌধুরী,গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :।।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত শহীদ শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ বিন জাহিদ-এর অসহায় মায়ের সাথে দেখা করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল।শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদ-এর অসহায় মায়ের প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন প্রতিনিধি দলটি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সিনিয়র সদস্য মাসুদ রানা লিটন ও সদস্য মুসতাকিম বিল্লাহ এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার।
প্রসঙ্গত, বড় ছেলে আবদুল্লাহ বিন জাহিদ মারা যাওয়ার ১৪ দিনের মাথায় এই মা ফাতেমা তুজ জোহরা জানতে পেরেছেন তাঁর ১৪ বছর বয়সী ছেলে মাহমুদুল্লাহ বিন জিসান ক্যানসারে আক্রান্ত। কোলন ক্যানসারে (তৃতীয় পর্যায়) আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসার খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ফাতেমা তুজ জোহরার। এই ছেলেকেও হারিয়ে ফেলতে হয় কি না, এখন সে ভয় পাচ্ছেন তিনি।
ফাতেমা তুজ জোহরা ছোট ছেলেকে নিয়ে বর্তমানে রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুরে থাকেন।
এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পারেন এমন দুঃখের খবর। এরপরই অসহায় এই পরিবারের পাশে দাঁড়ান তিনি এবং শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদ-এর ছোট ভাই মাহমুদুল্লাহ বিন জিসান-এর চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আজ সোমবার শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদ-এর ঢাকার উত্তরখানের বাসায় গিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দল।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সক্রিয় আবদুল্লাহ বিন জাহিদ ঢাকায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। মা ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, গত ৫ আগস্ট উত্তরায় এপিবিএন সদর দপ্তরের উল্টো পাশে আবদুল্লাহ বিন জাহিদ গলায় ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়। পিঠে যে গুলি লেগেছিল, তা আর শরীর থেকে বের করা যায়নি।
গত ৫ আগস্ট রাতেই কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদ দাফন করা হয়।