ইমন চৌধুরী, জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর:।।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস রাজধানীর চারটি খাল উদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির যে প্রকল্প নিয়েছিলেন তাতে ভয়াবহ অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে। প্রকল্পের কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, পথচারীদের বিশ্রাম ও শরীরচর্চার জন্য তিনটি খালের পাড়ে মোট আড়াই হাজার বর্গফুট শেড নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকার বেশি।
খোদ সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরাই বলছেন, ২ হাজার ৫০০ বর্গমিটার শেড নির্মাণে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা খরচ হবে। সেখানে ১৮ কোটি টাকা খরচ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পজুড়ে কেবলই লুটপাটের ছক। এখানেই শেষ নয়, প্রকল্পে দুটি টয়লেট নির্মাণের খরচ ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ টাকা। প্রকল্প তদারকিতে যোগাযোগের জন্য জ্বালানি খরচ বাবদ ১ কোটি এবং লুব্রিকেন্ট খরচ ধরা হয়েছে আরও ১ কোটি টাকা।
প্রকল্পের নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কালুনগর খালে ১০২ বর্গমিটার শেড নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা। ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরের খরচ ৩২ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। জিরানি খালে ৩০০ বর্গমিটার আয়তনের দুটি শেড নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়া মান্ডা খালে ৩০০ বর্গমিটার আয়তনের ছয়টি শেডের নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ২ হাজার ৫০০ বর্গমিটার শেড নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ১৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো কাজের অগ্রগতি নিয়ে। ঢিমেতালে কাজ চললেও এর দায় নিতে নারাজ প্রকল্প পরিচালক ও ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘সাবেক মেয়র (তাপস) কাজে দেরি করেছেন। তিনি চেয়েছেন খালের জমি উদ্ধার করে খাল আরও বড় করবেন। তাই কাজের অগ্রগতি ৫ থেকে ৬ শতাংশ।