মানিক হোসেন, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:।।
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ চারদিন দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এসব কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সৎ, যোগ্য, দুর্নীতিমুক্ত, সংস্কারমনা ও শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান।
অবশেষে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের ১৪তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি ইতোপূর্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ১২ বছর শিক্ষকতা করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে ভূমিকা রাখেন অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
তার নিয়োগপ্রাপ্তির সংবাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিননন্দন জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। নিয়োগের পর তার ছবি যুক্ত করে ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট। এতে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তার নিকট বিভিন্ন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি লিখেছেন, 'ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান শুধু একটি সরকার পরিবর্তন নয়, এটি একটি আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। সেই আকাঙ্ক্ষা রাষ্ট্র সংস্কারের, প্রতিষ্ঠিত সকল নেতিবাচকতার পরিবর্তনের। আমরা সেই আশায় বুক বেঁধেছি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান্ধাতার আমলের বিদ্যমান ধারার ইতিবাচক সংস্কার চায়। এজন্য তারা একজন দক্ষ নাবিকের প্রত্যাশী ছিল। উপাচার্য নিয়োগের জন্য চলমান আন্দোলনেও শিক্ষার্থীরা সেই বার্তা দিয়েছে। একজন সৎ, দক্ষ, সংস্কারমনা ও শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য চেয়ে আমরা অন্তবর্তী সরকারের কাছে দাবি করে আসছিলাম। সরকার আপনাকে এই পদে যোগ্য মনে করে আমাদের অভিভাবক হিসেবে পাঠিয়েছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা আপনাকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি আরোও লিখেছেন, 'আপনার বিগত দিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জেনে আমরা আশান্বিত হয়েছি। আমাদের প্রত্যাশা উপাচার্য হিসেবে আপনি শিক্ষার্থীদের আশা-আকাক্সক্ষাকে বুঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক সংস্কারে ভূমিকা রাখবেন। শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক চিন্তা হোক আপনার কার্যক্রমের মূলমন্ত্র। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব র্যাংকিংয়ে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে নিয়ে যাবেন এটি আমাদের প্রত্যাশা। আমরা চাই, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিরোধীতাকারী, ছাত্রদের রক্ত ও লাশের গন্ধ যাদের গায়ে তাদের থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। একইসঙ্গে দুর্নীতিবাজ, নিপীড়ক ও সুবিধাবাদীরাও আপনার পাশে না আসুক। ইতিবাচক যে কোন কাজে আমাদেরকে আপনার পাশে পাবেন।