মোঃ শাহিনুর রহমান আকাশ, রাজশাহী দুর্গাপুর প্রতিনিধি:।।
গতকাল রাত আনুমানিক ০২ ঘটিকার সময় রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার ধরমপুর ও বেলঘড়িয়া বিলের পুকুরে, জাল দিয়ে মাছ মারা অবস্থায় ১২ জন চোরকে স্থানীয় এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও দুর্গাপুর থানা পুলিশ।
বিশেষ সূত্রে জানা যায় গত রাতে ধরমপুর বাজারে ডিউটি রত নাইটগার্ড তাদের ভুটভুটি ও মাছধরা জাল দেখে সন্দেহ হয় এবং একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে চোর চক্রের সদস্যরা জানায় যে ধরমপুর এলাকার রাজীব (৩৫) পিতা- রেজাউল করিমের পুকুরে মাছ ধরতে এসেছে তাদের কথাবার্তা ও চাল চলনে নাইট গার্ড আরও বেশি সন্দেহ করতে থাকে।
এবং চোর চক্রের সদস্য ১৫/ ১৬ জন হওয়ায়,নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে নিরাপদ স্থানে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে দেশের এমন পরিস্থিতিতে সবাই যখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ঠিক এই সময় এই ধরনের সংবাদ পেয়ে এলাকাবাসীর সবাই তৎপর হয়ে ওঠে।
এবং পার্শ্ববর্তী গ্রাম বেলঘড়িয়া ধরমপুরে সাধারণ জনগণ তাদের খোঁজাখুঁজির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্থানে যায় একপর্যায়ে বেলঘড়িয়া ও ধরমপুর বিলের মধ্যে এক পুকুরে মাছ ধরা অবস্থায় তাদেরকে হাতে নাতে আটক করে। এবং পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশকে সংবাদ দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গেই, দুর্গাপুর থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি টহল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করে। এবং ক্ষিপ্ত জনতা চোর সদস্যদের ব্যবহৃত দুটি ভুটভুটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আটককৃত চোর সদস্যরা হলেন শ্রী সুমন(৩০), পিতা মৃত্যু যতিন, সাং বড়িগঞ্জ থানা: শিবগঞ্জ,মোঃ খাইরুল ইসলাম (৩৫) পিতা-মৃত মোসাদ্দেক, সাং-বিল আসড়া, থানা-শিবগঞ্জ, জেলা- বগুড়া।
শ্রী সুপদ (৩৪)পিতা- শ্রী নিবারন ,সাং- মহব্বতপুর, জেলা- জয়পুরহাট,শ্রী শুকুর পিতা-মৃত হরেণ সাং-বয়সকুল , থানা- পত্নীতলা , জলা- নওগাঁ।
শাহাদত হোসেন (২২) পিতা-মানিক, সাং- বুড়িগঞ্জ, থানা- শিবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া,শ্রী মঙ্গল (৩৫)পিতা- চিত্তরঞ্জন , সাং- সেকের কোলা থানা- সদর , জেলা- বগুড়া,শ্রী নিপন (২২) পিতা- নরেশ সাং- বয়সকইল থানা- পত্নীতলা , জেলা- নওগাঁ।
শ্রী অর্জুন (৩২) পিতা- সুনীল সাং- মহব্বতপুর ,থানা- ক্ষেতলাল ,জেলা- জয়পুরহাট।
শ্রী সঞ্জিত সরকার (৩৬) সাং- বুড়িগঞ্জ , থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- বগুড়া সম্পদ (৪৮)পিতা- অশিনি সাং- বুড়িগঞ্জ, থানা-শিবগঞ্জ, জেলা- বগুড়া।
পুলিশ ও সেনাবাহীনি চোরদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে বর্তমানে চোর চক্রের সদস্যরা থানা হেফাজতে আছে।
এবং আটককৃত চোর সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।