এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ, পাবনা জেলা প্রতিনিধি:।।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বিধিবদ্ধ শায়ত্ব শাসিত সংস্থা।
বাংলাদেশের আইন অঙ্গনে বিচারালয়ে, আদালত প্রাঙ্গণে যে সকল বিজ্ঞ ব্যক্তিগন মোকদ্দমা পরিচালনা করতে আইনী সহায়তা করে থাকেন সহজ ভাষায় তাদের কে আমরা উকিল বা অ্যাডভোকেট বলে চিনি বা জানি।
একজন উকিল/অ্যাডভোকেট-কে শিক্ষাজীবনে SSC,HSC পাশ করে LLB (Hon's) ও LLM (ক্ষেত্র বিশেষে) পাশ করে তিন ধাপের কঠিন পরীক্ষা দিয়ে সনদ অর্জন করে প্র্যাকটিস করতে হয়।
আবার কোন ক্ষেত্রে SSC, HSC, Degree Pass/Hon's, মাস্টার্স কোর্স করার পরে আইনে স্নাতক করে বা স্নাতকোত্তর করে তিন ধাপের কঠিন পরীক্ষা দিয়ে সনদ অর্জন করে প্র্যাকটিস করতে হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল(বিবিসি) এনরোলমেন্ট পরীক্ষাতে।
এ রকম বৈষম্য চোখে পড়ে! অথচ দেশে প্রচলিত পদ্ধতিতে মেডিক্যাল শিক্ষার্থী SSC,HSC পাশ করে MBBS পাশ করে ইন্টার্নশিপ করেই চিকিৎসা সেবা দিতে,প্র্যাকটিস করতে পারেন! কোন বিধি নিষেধ নাই আইনত।
অথচ আপনারা আইন অঙ্গনে বিচারালয়ে আদালত প্রাঙ্গণে বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট সনদ ছাড়া প্র্যাকটিস করতে পারেন না এখানে কি বৈষম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
অবশ্যই বৈষম্য সুস্পষ্ট দৃশ্যমান।
চলমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপনাদের সকলকে আন্দোলন করতে হবে।
বিভিন্ন পেশাজীবীদের শিক্ষা গ্রহন শেষে সহজ পদ্ধতিতে।।
তাদের কর্মসম্পৃক্ততায় অবদান রাখতে সনদ বা লাইসেন্স প্রদান করা হয় আবেদন বা সহজ পদ্ধতিতে।
আপনাদের আইনাঙ্গনে পেশা পরিচালনা করতে, কোর্টে প্র্যাকটিস করতে প্রহসনের নামে তিনটি ধাপে পরীক্ষা নিয়ে বৈষম্যের শিকার করা হচ্ছে। এই বৈষম্য থেকে আইন অঙ্গনের আপনারা, আপনাদেরকে মুক্ত করতে পারেন।
এখন বাংলাদেশ থেকে বৈষম্য দূরীভূত করা হচ্ছে, অনিয়ম দূর্নীতি নাশ করা হচ্ছে তাই প্রিলিমিনারী পরীক্ষা ও ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষানবিশদের বার কাউন্সিল সনদ প্রদান করার ব্যবস্থা করার জন্য আন্দোলন করার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশে আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া সহজে কোন কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়।
আপনারা সোচ্চার হয়ে প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করুন রাজপথে মানব বন্ধন করুন! বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন ভাই-বন্ধুগন।
প্রতিটি বারে-জেলায় কমিটি করুন এবং তাদের নিয়ে মিটিং করুন , মিটিং করা অতি দরকার আপনাদের জন্য।
অতিদ্রুত জাতীয় প্রেসক্লাবেও মানব বন্ধন করতে পারেন। এছাড়া মাননীয় এটর্নি জেনারেল স্যারের সাথেও দেখা করে এই দাবী দাওয়া পেশ করতে পারেন।
বৈষম্যের শিকার আপনারা।
আপনাদের অধিকার আপনাদের নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা MBBS পাশ করেই ইন্টার্নিশিপ করেই রুগীর চিকিৎসা (প্র্যাকটিস) করতে পারেন।DMF পাশ করে ইন্টার্নশিপ করেই রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে লাইসেন্স নিয়ে সেবা করার সুযোগ পেয়ে যান মেডিক্যাল ডিপ্লোমাগন।
আপনারা LLB, LLM ও অনার্স-মাস্টার্স করেছেন, ছয় মাসের নির্ধারিত শিক্ষানবিশ কাল সমাপ্ত করেছেন, পরীক্ষা দিয়ে বারংবার বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন! আপনাদের প্রতি বিগত কয়েক বছর বৈষম্যের মাধ্যমে নির্যাতন করা হয়েছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায়না।
আপনারা সমস্বরে গলা ফাটিয়ে আওয়াজ তুলুন বৈষম্যের বিরুদ্ধে-চলো যাই যুদ্ধে বৈষম্যের শিকার আমরাও বৈষম্য থেকে মুক্তি চাই, মুক্তি চাই নচেৎ খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার জন্য বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট সনদ চাই।
আপনাদের বেঁচে থাকা সময়ের ও দেশের জন্য প্রয়োজন! তাই তিনটি ধাপের প্রহসনের পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বার কাউন্সিল বের হয়ে এসে প্রিলিমিনারী ও ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে আপনাদেরকে সনদ/লাইসেন্স প্রদান করে বৈষম্য লাঘব করবে আশা করি।
সরকারের প্রতিও সুদৃষ্টি কামনা করছি সময়ের দাবীতে যা অযৌক্তিক নয় কারন বেতন ভাতা বিহীন পেশায় এতটা চাপ থাকা বোধ করি অনুচিত ও অযৌক্তিক।
না হলে দাবী তুলুন মেডিক্যাল শিক্ষার্থী, প্রকৌশল শিক্ষার্থীসহ অপরাপর ক্ষেত্র গুলির প্রতি।
যে সকল ক্ষেত্রে তিন ধাপের প্রহসনের পরীক্ষা পদ্ধতি নেই।
তাদের ক্ষেত্রেও তিন ধাপের প্রহসনের পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হোক।