নিজাম উদ্দীন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:।।
শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা সাথে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণ করেছে কিশোরগঞ্জবাসী এসময় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নিহতদের স্মরণে নির্মিত প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
রবিবার, ৭ জুলাই সকালে শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত কনস্টেবল জহিরুল কনস্টেবল আনসারুলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখসহ অন্যরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ আফজল।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. নূরে আলম, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু রাসেল, কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফাসহ নিহতদের স্বজনগণ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৭ জুলাই শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত ও জামাতের ইমাম মুফতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের ওপর হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জঙ্গিরা চাপাতি, বোমা এবং পিস্তল নিয়ে মাঠের দিকে যাচ্ছিল।
এসময় পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাসির মুখে পড়লে তারা অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের উপর এসময় জঙ্গিরা চাপাতি দিয়ে কনস্টেবল আনসারুল হক ও কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম নামে দু’জন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করে।
খবর পেয়ে অন্য পুলিশ সদস্যরা জঙ্গিদের প্রতিরোধে এগিয়ে গেলে করলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কুমিল্লার সন্তান জঙ্গি আবির রহমান (২৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এসময় জঙ্গিদের সাথে পুলিশের ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এসময় নিজ বাসায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঝর্ণা রাণী ভৌমিক (৪০) নামে এক গৃহবধূ নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও ১৪ পুলিশ সদস্য।
বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে র্যাবের হাতে বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অপর জঙ্গি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এলাকার শফিউল ইসলাম (২২) ধরা পড়েন শফিউল পরবর্তীতে নান্দাইল উপজেলার ডাংরী এলাকায় র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম তারাপাশা এলাকার জাহিদুল হক তানিম (২৬) নামে এক যুবককেও ঘটনাস্থল থেকে আটক হয়।
পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ জানান শোলাকিয়া জঙ্গি হামলা মামলার অভিযোগপত্র ইতিমধ্যেই আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মামলার ১০১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬০ জন আদালতে তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন।