আজ (৩০ মে) শুক্রবার দুপুর ২:৩০টা দিকে কয়রা উপজেলার উলা গ্রামে নিজ বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত শহিদুল গাজীকে আটক করেছে।
তারা দুজনেই উলা গ্রামের মৃত দ্বারা গাজীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহিদুল তার স্ত্রীকে মারধর করে দড়ি দিয়ে আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। স্ত্রীর চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী বাড়ি থেকে সাহেব আলী এসে ভাবিকে উদ্ধার করতে যান।
এ সময় শহিদুলের হাতে থাকা শাবল দিয়ে সাহেব আলীকে আঘাত করা হয়। তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে শহিদুল বটি দিয়ে তাকে জবাই করেন।
এ সময় শহিদুলের স্ত্রী চিৎকার করে দৌড়ে পালান। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে শহিদুল বিল পাড়ি দিয়ে বারোপোতা গ্রামের মিস্ত্রি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে মহিলাদের শাবল দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক সন্তোষ মিস্ত্রির ঘরে প্রবেশ করেন।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শহিদুলকে আটক করে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমদাদুল হক বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাটি জানতে পারি। অভিযুক্ত শহিদুলকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।