নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলা বিচ্চিন্ন দ্বীপ মনপুরায় একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং বইছে ঝড়ো বাতাসও। মনপুরা উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে প্রচণ্ডভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে।
বুধবার (২৮ মে) সকাল থেকেই মনপুরা চারপাশের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মনপুরাসহ আশে পাশে চরঅঞ্চল গুলোর বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এবং চরগুলোতে ৪/৫ ফুট পানি উঠেছে। বিপাকে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
মনপুরা ডালচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ সাহাবুদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বুধবার থেকে এখন পর্যন্ত টানা ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বইছে ঝড়ো বাতাস। বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে গেছে। এ পরিস্থিতিতে মনপুরার বাসিন্দারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।’ মনপুরাসহ আশেপাশে চরগুলো তে অসংখ্য গবাদি পশু হাস মুরগী গরু মহিষসহ প্রায় ১০০০/১৫০০ পোশ্য প্রাণী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বহু বসতঘর বাড়ি জোয়ারের পানিতে ভেংগে গেছে।
বুধবার (২৮ মে) ঝুঁকিপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে মনপুরা সঙ্গে সারা দেশের সব ধরনের নৌ-যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে সাগরে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত জারি করা হয়েছে। তাই দক্ষিন বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে বলা হয়েছে।
উত্তরে চরের বাসিন্দা ফিরোজ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বেড়িবাঁধ না থাকায় সহজেই জোয়ারের পানি ঢুকে চরঅঞ্চল গুলোতে প্লাবিত হয়। ইতোমধ্যে, বিভিন্ন এলাকা জোয়োরের পানি ঢুকে পড়েছে।’
জেলা প্রশাসন থেকে জানান হয়, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র।